Atheist vs Muslim some wrong concept against Islam:
সভ্য মুক্তমনা নাস্তিক আর অসভ্য মুসলমানদের কয়েকটি বিষয়ে কিছু ভাবনা:
ইসলামের বহুবিবাহ বনাম মুক্তমনাদের অবাধ যৌনাচার, জান্নাতের ৭০টা হুর কি পরকালে অবাধ যৌনাচারের জন্য নয়!
কিছুদিন ধরে ইউটিউবে নাস্তিক বনাম আস্তিক মুক্ত আলোচনার কিছু ভিডিও দেখে মনের মধ্যে কিছু কথা জমা হয়েছে। ভাবলাম যদিও আমি বিশেষজ্ঞ নই কিন্তু সাধারন বিবেচনাবোধ থেকে কিছু কথা আমি বলতে চাই।
নাস্তিক তথা মুক্তমনা তথা সভ্যদের কথায় একটা বিষয়ে পরিষ্কার হতে পারি যে, বেশীরভাগ মুসলমানদের মনে ফ্রী সেক্স বা মুক্ত সেক্স করা নিয়ে ভুল ধারনা রয়েছে। অশিক্ষিত মুসলমানেরা মনে করেন মুক্ত সেক্স মানেই হলো একজন লোক তার ইচ্ছা হলেই যাকে তাকে যখন তখন ধরে নিয়ে সেক্স করতে পারবে। ব্যপারটা আসলে তা নয়। এখানে জোড় করার কোন সুযোগ নাই। কেবল দুজনই যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং এতে যদি উভয়েই সম্মত হয় তবে তারা সেক্স করতে পারবে এখানে আর কোন বাধা নাই। এটাই হলো ফ্রী বা মুক্ত সেক্স। আরো একটা বিষয় হলো একজন লোক চাইলে কোন পশুর সাথেও সেক্স করতে পারেন যদিনা সে ওই পশুর অনুমতি নিতে পারেন। কিন্তু এটা সাধারণত সম্ভব নয় যে একজন লোক একটা পশুর অনুমতি নিতে পারবে, তাই তারা এটাকে অনুচিত বলে মনে করেন। তবে কেউ যদি তার পোষা পশুকে এ বিষয়ে আগ্রহী করতে পারে এবং তাকে সম্মত করতে পারে তবে আর কোন সমস্যা নাই। এছাড়া নিজের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন বা এর বাইরের কাউকেও যদি রাজী করানো যায় তাও করা যাবে। এটা তাদের সভ্যতার একটা দারুন উৎকর্ষ। আর মুসলমান তথা অসভ্যরা একে জিনা বা ব্যভিচার বলে অপরাধ হিসেবে গন্য করে।
সভ্যতার মাপকাঠি কি? কে তা নির্ধারন করেছে? তা কেন সময়ের সাথে সাথে পাল্টাচ্ছে? নাস্তিক বা মুক্তমনাদের সভ্যতার ভিত্তি কি? কোথাও কোন নিরীহ, নিরপরাধ, দূর্বল বা সংখ্যালঘু লোকজন অত্যাচারিত হলে আমরা মিডিয়াতে সভ্য মুক্তমনাদের প্রতিবাদ দেখতে পাই। আর এর দ্বারা বোঝানো হয় কেবল মুক্তমনারাই সভ্য ও মানবতাবাদী। আর বাকিরা বিশেষ করে মুসলমানরা মানবতার ধার ধারেনা। অথচ এমন অন্যায় বা অবিচার যখন হয় তখন কে না তার প্রতিবাদ করে? কিস্তু মিডিয়া কি সবার প্রতিবাদ দেখায়? তাই কেবল মুক্তমনা বা নাস্তিকরাই মানবতাবাদী বা সভ্য আর বাকিরা অসভ্য মানবতা বিরোধী এটা বলা যাবে কি? জীবনের অনেক ছোটাখানো বিষয় থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় বিষয় পর্যন্ত মানুষের পছন্দ রুচিবোধ বা চলার পথ ভিন্ন ভিন্ন। আপনি একজন অপরিচিত মানুষের সাথে কিরকম আচরন করবেন, কিরকম পোষাক পড়বেন, কিভাবে হাটবেন, কিভাবে আরেকজনের দিকে তাকাবেন, কিভাবে কথা বলবেন সব কিছুতেই আপনার সভ্যতার মাপকাঠি প্রকাশ পাবে। এসব ব্যপারে সভ্য তথা মুক্তমনাদের মাপকাঠি কি? অথচ ইসলাম এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়েও গাইডলাইন দিয়েছে। কিন্তু মুক্তমনা নাস্তিকদের মতে আল্লাহ্ এতোই ছোটলোক (নাউজুবিল্লাহ্) যে তিনি মানুষের সব কিছু নিয়েই নাক গলাচ্ছেন। সবকিছুতেই তার মাথাব্যথা। তারা আল্লাহকে ব্যক্তি বানিয়ে ফেলেছে। ইসলাম তো মানুষকে সব সময় সর্বোত্তমটাই গ্রহণ করতে বলেছে। যা কিছু মানুষের জন্য কল্যানকর তা গ্রহন করতে ইসলামে তো কোন বাধা নেই।
নাস্তিক বা মুক্তমনারা মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে সবচেয়ে বেশী যে তামাশা করে থাকেন তা হলো তিনি অনেক গুলো বিয়ে করেছেন এমনকি নিজের ছেলের স্ত্রীকেও। প্রথমেই বলে নিচ্ছি, জায়েদ মোহাম্মদ (সঃ) এর পুত্র নয়। জায়েদকে পুত্রের মতো ভালোবাসা দিয়েছিলেন এবং পাশে রাখতেন। আর জায়েদ একজন দাশ ছিলেন, যাকে মোহাম্মদ (সঃ) মুক্ত করে নিজের পুত্রের ভালোবাসা দিয়ে রেখেছিলেন। আর এভাবে কেউ কারো বাবা মা বা সন্তান হয়ে যায়না। কারন একজন পালক সন্তানের কাছে তার আসল বাবা মার পরিচয় গোপন করে রাখা আরেকটি অন্যায় এবং অমানবিক ও জুলুম। সুতরাং আরেকজন যতই তাকে আশ্রয় আর ভালোবাসা দিক সে তার বাবা বা মা হয়ে যাবে না। হতে পারে তারা বাবা মায়ের মতো ভালোবাসা দেন বা তার দায়ীত্ব নেন। কিন্তু এই স্নেহ ভালোবাসা তো আপনি আপনি সবাইকেই দিতে পারেন, তাতে তো কোন বাধা নেই বরং তা করতে পারলে আপনি একজন মহানুভব ব্যক্তি হিসেবে সম্মান পাবেন। এমনকি তাদের আপনি সম্পত্তির কিছু অংশ দান ও করতে পারেন তবে তারা কিছুতেই উত্তরাধিকারী নয় যদি আপনি নিজে থেকে তাদের কোন কিছু দান করে না যান। জায়েদের স্ত্রী জয়নাব মোহাম্মদ (সঃ) এর আপন ফুফাতো বোন ছিলেন। জায়েদের সাথে বিয়ের আগেও তার আরেকবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু জায়েদের সাথে বিয়েতে জয়নাব এবং তাদের বংশের কারো ইচ্ছা ছিলনা। কারন আরবের উচু বংশের মেয়ের সাথে একজন দাশের বিয়ে কি করে হয়? কিন্তু মোহাম্মদ (সঃ) এই প্রথাকে বিনষ্ট করতে চেয়েছেন। তাই তার ইচ্ছাতেই জায়েদের সাথে জয়নাবের বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের সংসারে শান্তি আসেনি কারন জয়নাব জায়েদকে ভালোভাবে গ্রহন করেননি। তাই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। জয়নাব সুন্দরী কোন নারী ছিলেন না। তিনি অত্যন্ত রোগাক্রান্ত এবং শুকনো শরীরের ছিলেন। কিন্তু তাকেই মোহাম্মদ (সঃ) পরে বিয়ে করেন। ইসলামে ফুফাতো বোনকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয়। ইসলাম প্রত্যেক পুরুষের জন্য তার কিছু আত্বীয়কে বিয়ে করা হারাম করেছে। অর্থাৎ এ সম্পর্ক গুলো কখনো পরিবর্তন হতে পারবেনা। যেমন মা/বোন/খালা ইত্যাদি। কিন্তু নাস্তিক বা মুক্তমনাদের যৌনাচারের জন্য এগুলোর কোনটাই নিষিদ্ধ নয়। যদি তারা উভয়ে সম্মত হয় বা এদের কাউকেও কেউ রাজী করাতে পারে তবে তারা যৌনাচারে লিপ্ত হতে পারবে। এখন দেখুন মুক্তমানারা এতোই সভ্য যে কাউকে রাজী করাতে পারলেই তার সাথে সেক্স করা যাবে। সমাজে কি তাহলে আর কোন শৃঙ্খলা থাকবে। যে নারী আমাদের সহধর্মিনী হয় আমরা তাদেরকে আমাদের একটা অংশ মনে করি। তার উপর আর কারো অধিকার থাকেনা। কিন্তু মুক্তমনা হয়ে আপনাদের জীবন সঙ্গীকে আপনি একান্তই আপনার মনে করবেন এমন কোন সুযোগ আছে? আপনার পরম প্রিয় পরম প্রিয় স্ত্রীও আপনার নাও থাকতে পারে। কারন সেও চাইলে অন্য কারো সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হতে পারে। অথবা অন্য কেউ তাকে রাজী করাতে পারে। তার মানে ভালোবাসার বন্ধন মানুষের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। থাকবে শুধু যৌন চাহিদা।
আপনারা মুক্তমানারা যেহেতু উভয়ের সম্মতি পাওয়া সাপেক্ষে সেক্স করাকে বৈধতা দিচ্ছেন, তাহলে আপনি সারা জীবন কতো জনের সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হতে পারবেন তার তো কোন সীমাবদ্ধতা আপনারা রাখেননি। তার মানে হলো আপনারা অবাধ যৌনাচারের সুযোগ রাখছেন যতো খুশি। শুধু উভয়ে রাজী হলেই হয়। আর ইসলাম বহু বিবাহ বৈধ করে কোন জায়গায় খারাপ করলো? ইসলাম বলেনি তোমরা অনেক গুলো বিয়ে করো। বরং স্ত্রীদের মধ্যে সমতা বিধান করতে না পরলে তা নিষেধ করা হয়েছে। বিয়ে করে নারীদের পদদলিত করে রাখার কথা বলেনি। বরং বিয়ে করে যদি সঠিক হক আদায় করতে না পারে তবে বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে বলা হয়েছে। কারন সেও তার জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারবে। একজন লোক কি চাইলেই বার বার বিয়ে করতে পারবে? বিয়ে করতে হলে তাকে ধর্মীয় ও সামাজিক কিছু নিয়ম মেনে বিয়ে করতে হয়। দেনমোহর আদায় করতে হয়। এই খরচ সে কতোবার বহন করতে পারবে? যদি কেউ প্রতারনা করে বিয়ে করতে থাকে এবং দেন মোহর আদায় না করে তবে তার জন্য তো শাস্তির বিধান রয়েছে। যারা বার বার বিয়ে করে আর তালাক দেয় তারাও এটা কতোবার করার সুযোগ পাচ্ছে? পেলেও সঠিক ভাবে তার বিচার না হওয়ার কারনেই সে সুযোগ পাচ্ছে। আর সে কি কাউকে জোড় করে বিয়ে করছে? জোড় করে বিয়ে করার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। এমনকি একটা মেয়ের বৈধ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াও সম্ভব নয়। এবং ইসলাম বিয়ের আগে উভয় পক্ষকেই ভালো করে সব কিছু জেনে নেয়ার তাগিদ দিয়েছে। এখন যদি এর পরেও এমন কোন লোক কে কোন নারী বিয়ে করে তাহলে অবশ্যই সে অর্থের লোভে বিয়ে করেছে। এটাতো ইসলামের ভুল না। আর কোন ব্যক্তি যদি অন্যায় করে থাকে তার জন্য ইসলাম কেন দায়ী হবে। সেতো ইসলামের মৌলিক নীতিমালা মনেনি। আর এধরণের লোক গুলো যদি মুক্তমনাদের আদর্শ গ্রহণ করতো তবে কি এরা কোন কিছু কম করতো? মুক্তমনা লোকেরা আরবের লোকদের অসভ্যতার উদাহরন দেন সব সময়। আপনি এমন অনেক প্রমান দিতে পারবেন তারা কতোটা অসভ্য। এরা সবচেয়ে অসভ্য আর বর্বর ছিল বলেই শান্তির জন্য সর্বশেষ নবীকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল বা সেখান থেকে নির্বাচন করা হয়েছিল হয়তো। মুক্তমনাদের আরেকটি দলিল হলো ইরানের ঈমাম খুমেনীর আইনের দলিল। মনে রাখবেন ঈমাম খোমেনীর আইন ইসলামের আইন নয়। শিয়া সম্প্রদায় ইসলাম থেকে অনেক দূরে। এটাকে আলাদা একটা ধর্ম বললেও ভুল হবেনা। আপনারা কেবল কোরআন ও হাদিসের নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন যদি আপনাদের কাছে কোন কিছু ভুল মনে হয়।
ইসলাম একজন নারীকে সম্মান দিয়েছে। কারন আপনি চাইলেই একজন নারীকে পেতে পারেন না। আপনাকে অবশ্যই সামাজিক সব নিয়ম মেনে তাকে গ্রহণ করতে হবে। এবং তার সব অধিকার পুরন করতে হবে। কিন্তু মুক্তমনাদের সভ্যতায় নারীদের অপব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
এতো গেলো দুনিয়ার কথা। কিন্তু জান্নাতের একি হাল! সেখানে একজন পুরুষের জন্য ৭০ জন (পর্যন্ত) হুর থাকবে! তার মানে জান্নাতে আল্লাহ্ মুসলমানদের জন্য অবাধ যৌনাচারের সুযোগ করে দিয়েছেন! হুর মানে যে পুরুষের যৌন দাসী তা আপনাকে কে বলেছে? দুনিয়াতে যা আমাদের জন্য ভালো এবং সুন্দর তাইতো আমরা চাই। আপনি ভালোবাসেন আপনার প্রিয়তমাকে, আপনার সন্তান, বাব-মা, ভাই-বোন দের। তাদের সাথেই তো সুখে থাকতে চান। জান্নাতে কেন চাইবেননা। আমরা অনেকেই দুনিয়াতে অনেক খারাপ কাজ করতে পছন্দ করি। মদ্যপান, ধুমপান, জুয়া খেলা, অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হওয়া এগুলো হয়তো দুনিয়াতে আনন্দ দেয়। তাই অনেকেই এগুলোতে লিপ্ত থাকে বা থাকতে চায়। কিন্তু জান্নাতে কি কোন খারাপ কাজ করার সুযোগ থাকবে? নাকি শয়তান সেখানে প্রবেশ করতে পারবে আপনাকে কুমন্ত্রণা দেয়ার জন্য? সুতরাং ৭০ জন হুর এর প্রসঙ্গে মুক্তমনা নাস্তিকরা ইসলাম নিয়ে যে তামাশা করেন তা কেবল তাদের মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।
ইসলাম সত্য এবং সুন্দর। এটা আপনি মানেন বা না মানেন তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার। আপনাদের সন্দেহকেও আমি শ্রদ্ধা করতে চাই। আপনাদেরকে যারা আক্রমান করে বা গালাগালি করে এটাও আমি অপরাধ বলে মনে করি। কারন একজন ব্যক্তি কখনো কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনা। আর একজন মুসলমানও কখনো কাউকে গালি দিতে পারেনা। হোক সে কাফের বা নাস্তিক। এমনকি মুসলমানকে কেউ গালি দিলেও পাল্টা গালি দেয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন মুসলমান যে কোন মানুষকে গালি দেয় তবে তার ঈমানই আর থাকেনা। কোন অমুসলিমকে কোন ভাবেই বাধা দেয়ার সুযোগ নেই। অতএব যেসব মুমিন বান্দা নাস্তিকদের গালাগাল করছেন আপনাদের বলছি এসব বন্ধ করুন। আপনি যুক্তি তর্ক করতে পারেন ভদ্র ভাবে। এর চেয়ে বেশী কিছু নয়। আর মুক্তমনারাও যেভাবে ইসলামকে আক্রমন করেন এবং মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে অশ্লীল কথা বলেন এটাও কোন মুক্ত চিন্তার ধরন হতে পারেনা। আপনার কাছে যা ভুল মনে হয় তা তুলে ধরুন। আপনাদের এসব সন্দেহের কারনে মুসলমানদেরই লাভ হচ্ছে। কারন বেশীর ভাগ মুসলমানের আবেগ আছে শতোভাগ কিন্তু জ্ঞান একেবারেই নেই। শুধু নেই তা নয় বরং ভুল জ্ঞান নিয়ে অনেকেই বসে আছে। আপনাদের সন্দেহ আর সমালোচনার কারনে অনেকেই এখন পড়তে শুরু করেছে। জানতে শুরু করেছে। এবং আমাদের ঈমান আরো মজবুত হচ্ছে।
______________________________
- শিবলী সাখাওয়াত ইলাহী
- Lee.sakhawat@gmail.com
______________________________
লেখাটি শেয়ার করলে অবশ্যই নিচে লেখকের সিগনেচার রাখবেন, এটা আশা করছি। আপনাদের সমালোচনাও আশা করছি। এতে আমার আরো লিখার এবং জানার আগ্রহ তৈরি করবে।

image