পশু পূজারী

....................
বড়ো গিন্নি ছেলেকে বারবার কান্নার
কারণ জিঙ্গেস করে। কিন্তু ছেলের কান্না
থামিয়ে কথা বলার অবকাশ ছিলো না। শুধু
কেদেঁই যাচ্ছে সে। জমিদার পুত্র ফটিকচরণ
কান্নার রহস্য না উন্মোচন করলেও মা কিন্তু
ঠিকই পুত্রের কান্নার কারণ বুঝে নিয়েছেন।
নিশ্চই পাশে দাঁড়ানো বাড়ির চাকরানীর
ছোট্ট দুষ্টু মেয়ে ফটিকের গায়ে হাত
তুলেছে। তাই গিন্নি রাগে ঘৃণায় ধপাশ ধপাশ
করে কয়েকটা কিল বসিয়ে দেয় মিলুর পিঠে।
মিলুকে মারতে দেখে ফটিকচরণ বলতে
লাগলো, মা মা মিলুকে মেরোনা। ও আমাকে
মারেনি।পায়ে বিড়ালে কামড় দিয়েছে!
সত্যিই তো, মা দেখলেন ছেলের পা থেকে
রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। যে মা ছেলেকে মারার
বিনা অপরাধে নিরিহ ছোট্ট মেয়েটির পিঠ
গরম করতে পারে। সে মা চাইলেই অপরাধী
বিড়ালের পরকালের টিকেট কেটে দিতে
পারতেন। বিড়ালটি পাশেই ছিলো। কিন্তু তা
তিনি করলেন না। কারণ এই তল্লাটের
জমিদারদের একটা সুখ্যতি আছে তারা
নিরীহ পশুর গায়ে হাত তোলেন না।
(অণুগল্প)