তুমি ডাকলেই পাখির কন্ঠে ডেকে ওঠে পুনর্জন্ম। শাপলার গ্রীবায় জেগে ওঠে নিভৃত বর্ণালী উৎসব। কোনোদিন ছোঁবোনা জেনেও উদভ্রান্ত হই। নিরুদ্দেশ ট্রেনের জানালায় রাখি বিষন্ন চোখ; চোখ বুজলেই তুমি গেয়ে ওঠো ফাল্গুনি গান। আমি বর্ণ হয়ে ঝরে পড়ি; স্নানসিক্ত রাধাচূড়ার মতোন। রক্তে জ্বলে ওঠা রক্তশিমুলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাপি,কাঁটা কম্পাস ছাড়াই।
ধরো,ডায়রি খুলে কিছুই পেলেনা। জ্যামিতি বক্সটা খুলে দেখো; তোমার জন্য রাখা আছে রিমঝিম বৃষ্টি, কাঠগোলাপের শরীরের স্নানের মাদকতা। আলপনা আঁকা ইচ্ছে ময়ূর অথবা কুয়াশা মাখা লজ্জাবতী ফুল।ধরো,আমিও ডুবে আছি ডাহুকের মতো।গলে গলে পড়ছি জ্যোৎস্নার মতো তোমার আঙ্গুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে। তুমি বকুলের বুকে রোদ্দুর আঁকো অদৃশ্য মায়ায়। চোখে রাখো চোখ অপার কৌতুকে। ভালোবাসা ছুঁয়ে জেনে নেবো, চূড়ান্ত সত্য মিথ্যা। তোমাকে ছুঁয়ে জেনে নেবো, মেঠোপথ ছুঁয়েছে কোন সে ফুলের ইচ্ছে।

ভালোবাসা ছুঁয়ে জেনে নেবো / আনিকা ইবনাত