Explore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
#কষ্ট
সুতাদের মন খারাপ। এক ঢিমি সুতার জীবন শত দুঃখ-কষ্টে জরাজীর্ণ। এইতো মাত্রই ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলি খেলতে নিয়ে সুতাদের টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। বাড়ির উঠোনে মাদুর পেতে বাড়ির বউ বসেছে সেলাইয়ে। ফোঁড়ে ফোঁড়ে গেঁথে দেয়া হচ্ছে সুতাদের। আবার সেলাই করতে গিয়ে কোথাও গিট পড়ে গেলেই ছুরি দিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে সুতা। ছেঁড়া আর কাটার এক ক্ষণস্থায়ী জীবনে বাঁধা পড়ে বাঁচতে হয় সুতাদের। অথচ সুঁচের জীবনচিত্র ভিন্ন। কোন কাঁটা ছেঁড়ার বালাই নেই। সুঁচ কেবল রক্তাক্ত করতে জানে হতে নয়। সুঁচকে দেখে আজ তাই ভীষণ মন খারাপ করে বসেছে সুতারা। নিজেদেরকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে সুঁচের খোঁচা খাওয়াতে আজ ওদের একদমই ইচ্ছে করছে না।
সুতাদের দেখে ওদের মনখারাপের আসল কারণটি বুঝে ফেলে সুঁচ। পরক্ষণেই সুতাদেরকে ডেকে সুঁচ বলে,
--নিজের দেহকে আঘাতে আঘাতে দুভাগ করে দিয়ে ছিদ্রময় শরীর দান করা হয়েছে আমাকে। ছিদ্রময় জীবনে প্রতিনিয়ত অন্যকে বয়ে বেড়ানোর কষ্ট কতটা তা তোমরা কি করে বুঝবে!
#মিনা_শারমিন
08-01-2021
ভাবনার আকাশ জুড়ে তুমি মিশে থাকো
মিশে থাকো আমার হৃৎস্পন্দনের গহীন ঘরে,
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন আবেশে হারিয়ে যাই কল্পপুরে।
তোমার আমার না বলা কিছু কথা জমা থাকুক মনের গোপন ঘরে।
ফাল্গুনী বাতাসে হৃদয় হয় শিহরিত।
এক মহাসমুদ্রসম ভালোবাসা রেখেছি তোমার জন্য।
সকল বিষন্নতার দিয়ে ছুটি
কথা হবে আনমনে চুপিচুপি।
তোমার আমার পাগলামি হাজারো খুনসুটি ক্ষণিকের জন্য না,
সুখে দুঃখে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত
প্রতিটি পদক্ষেপে তোমায় চাই আমার পাশে।
এককাপ চা অনেকটা নিকোটিন
অথবা তোমার ঠোঁটের চুমুকের মতো
তোমার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে চাই।
আমার সমগ্র অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে
আলো হিসেবে তোমাকে আবিস্কার করতে চাই নিজের মতো করে।
শীতের কুয়াশা আছন্ন ভোরে
এক চাদরে রাজ্যোর খুনসুটি হয়ে
সকালের অপরূপদৃশ্য উপভোগ করতে তোমাকেই চাই।
তোমার মাঝে বিরাজ এবং তোমার বাহুবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে
তোমার হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে মিশে যেতে চাই এই আমি।
তোমার ভালোবাসায় মায়াভরা স্মৃতিগুলো
সযত্নে আগলে রাখতে চাই আজীবন।
ঘাসের ডগায় লেগে থাকা শিশির বিন্দুর মতো
আমি তোমার মাঝে লেপ্টে যেতে চাই।
জ্যোৎস্নারাতে জোনাকির আলো হয়ে
আলোকিত করতে চাই তোমায়
এবং ঠাই পেতে চাই তোমার মনের গহীন অরণ্যে।
কবিতা: গহীন অরণ্যে
লেখা : সাইয়ারা ইসলাম মুন্নী
ছবি: সংগ্রহীত
ভৌতিক না অন্য কিছু?
রাত ১.৩০ লাইট অফ করে মোবাইলে ফেসবুকিং, বাসায় ঘর ভর্তী মেহমান। মেহমান আসলে পাশের কক্ষে চলে যাই। কিছুক্ষন পরপর পায়চারি, প্রথমে ভাবছিলাম বউ চেক করতে আসছে ঘুমালাম কিনা! না কেউ নেই, প্রথমে ভাবলাম মনের ভ্রম, এমন আরো কয়েকবার। এবার মোবাইলের ক্যামরা অনকরে ফ্ল্যাশ মোড অন করে দিলাম। এক সেকেন্ডের অর্ধেক সময়ে ক্লিক। ক্যামরায় যা পেলাম তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এই ছবির ব্যাখ্যা আমিই পাইনি। এতদিন বলিনি, সভ্য জগতে কেউ নিবেও না। রাতে ছাঁদে প্রায় নুপুরের আওয়াজ আসে। বাসার চার পাশে রাতবিরাতে পায়ের পায়চারী। ভাবতাম ছিঁচকে চোরের কাজ। একদিন রাতে স্পষ্ট বাসার জমিদার আন্টি আমাকে ডাক দিয়েছেন আমি নিচে গিয়ে দেখি কেউ নেই। সকালে তাকে জিজ্ঞেস করলাম আমাকে রাতে ডেকেছেন কেন? তিনি তাজ্জব আমি তোমাকে ডাকব কেন? এই যুগে অনেকে এসব ভৌতিক সিনেমার কাল্পনিক অবসেশন বলে চালিয়ে দিবে যেহেতু আমি হরর মুভি দেখি সময় পেলে, ভৌতিক থ্রিলার ও দেখা হয় কিন্তু ছবিটা মেলাতে পারছিনা......
#অফটপিক এডিট বলে উড়িয়ে দিতে চাইলে তা পারেন, বিশ্বাস করতে আমি বলছিনা, যাদের সাথে এমন অভিজ্ঞতা আছে তাদের সাথে আমার কিছু শেয়ার করার আছে বৈকি। বাকিরা এড়িয়ে যেতে পারেন।
শিক্ষক , সাংবাদিক ও গাল্পিক ঃ রহিম সৈকত